অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৭ জনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ এ খারিজ আদেশ দেয়।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাসসকে বলেন, এ মামলায় প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের সত্যতার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটি বাতিলে আসামীপক্ষ কোন উপাদান দেখাতে পারেননি। উভয়পক্ষে শুনানি নিয়ে মামলা বাতিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,
মামলা বাতিলে আনা হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। সেই সাথে বিচার শুরুর জন্য গত ১৫ জুলাই দিন ধার্য ছিল। সে অনুয়ায়ী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মামলার কার্যক্রম বাতিলে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
Leave a Reply